দিন দিন আমি একটু ছন্নছাড়া বোধ করছি। নিজের উপর হতাশও হয়ে যাচ্ছি। কেন হচ্ছি সেটাই বোঝার চেষ্টা করছি। আজ আমার জন্মদিন ছিলো। আম্মা খুব এক্সাইটেড থাকে আমার জন্মদিনের দিন। ১২টা পর্যন্ত বসে থাকে উইশ করার জন্য। নিজে হাটতে পারে না ঠিক মতো কিন্তু ঠিকই আমাকে না জানায় শার্ট কিনে নিয়ে আসবে। এবারও এনেছে। কেক কিনতে চাওয়ার সময় আমি স্ট্রিক্টলি মানা করে দিলাম যে কেক কেনার দরকার নাই। আমার ভিতরে দুইটা আত্মা থাকে খুব সম্ভবত। একটা হচ্ছে ছোট আত্মা, সেই ছোট আত্মা যে।ছোট বেলা থেকে কখনো কিছু পেয়ে আসে নাই। কখনো কিছু কেনার ইচ্ছা হলে টাকার অভাবের কারণে আম্মাকে বলা হয় নাই। আমার জন্মদিন খুব বড় করে করা কখনো হয় নাই। ছোট আত্মাটা যখনই এসব দেখে কখনো কাউকে এইরকম সেলিব্রেট করতে তখন একটা হাহাকার তৈরি হয়। ইশ। আমার জন্মদিন যদি এমন হতো। তখন বাধ সাধে আমার ভেতর থাকা "সব হারানো" আত্মা। যে সব হারিয়ে ক্লান্ত হয়ে এখন আর কোনো কিছুর আশা করে না। এই আত্মার কোনো ফিলিংস নাই, এই আত্মার জন্য আমাকে উইশ কেউ না করতে পারে সেজন্য আমি এগুলো হাইড করে রাখি। কেউ উইশ না করতে ভেতরে থাকা এক আত্মা মন খারাপ করলেও আরেক আত্মা বলে উঠে "তুই হ্যাপিনেস ডিসার্ভ করিস না"
যাই হোক, বাচ্চাদের মতো আজকে দিনশেষে গুনলাম কতজন উইশ করেছে। ৬ জন। নাম্বারটা খারাপ না এর মধ্যে ১-২ জনের মনে থাকার কথা ছিলো না যদিনা কয়েকদিন আগেই এই বিষয়ে কথা না হতো। যদিও এগুলা নিয়ে আপাতত মন খারাপ হচ্ছে না। হাইড করে রাখলে অবশ্যই মানুষের তো আর আমার জন্মদিন মুখস্ত করে বসে থাকবে না। ৬জনই বা কম কিসে।
এই জীবনের পরিবর্তনের জন্য একটা সময় নামাজ পড়ে অনেক কান্নাকাটি করেছি। এখন আর করি না। উপরওয়ালার উপর রাগ বলেন, অভিমান বলেন অথবা "শুনবেই তো না সুতরাং চেয়ে লাভ কি" এই চিন্তা বলেন। এইটাই এখন আমার জীবন। ওইযে দুনিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস "যা হয়েছে, হচ্ছে এবং হবে সেটা মেনে নেওয়া"